সুস্থ জীবনের জন্য স্বাস্থ্যকর ঘুম দরকার। মানসিক চাপ, কাজের সময়ের ঠিক না থাকা, বাজে খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকের ঘুমে সমস্যা হয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় কার্বোহাইড্রেটস, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদানের সঙ্গে ঘুম নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখতে পেয়েছেন। বিছানায় যাওয়ার আগে তাই সঠিক খাবার খেলে দ্রুত ঘুম আসবে এবং ঘুম গভীর হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেসব খাবার খেতে পারেন:
কলা: কলায় আছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। পটাশিয়াম পায়ের পেশিগুলোকে শিথিল ও শান্ত করবে আর ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ু ও মাংসপেশিতে শিথিল ভাব আনবে। হজম ভালো করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে পারে কলা।
মধু: প্রাকৃতিক চিনি মধু কিছুটা ইনসুলিন বাড়ায় এবং মস্তিষ্কে ট্রিপটোফ্যান সহজে যেতে সাহায্য করে। দেহঘড়ির হরমোন হিসেবে পরিচিত সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে ট্রিপটোফ্যান, যা আমাদের ঘুম ও জেগে ওঠার চক্র ব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী। ঘুমের আগে তাই এক চামচ মধু খেলে কিংবা হারবাল চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে আরও প্রশান্তির ঘুম আসবে।
লেটুস: লেটুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটুক্যারিয়াম, যা ঘুমে সাহায্য করে। রাতে শোওয়ার আগে কয়েকটি লেটুসপাতা গরম জলে ফুটিয়ে খেলে ঘুম ভালো হবে। এ ছাড়া রাতের খাবারে লেটুস সালাদও খেতে পারেন।
আখরোট: আখরোট ট্রিপটোফ্যানের ভালো উৎস। এতে ঘুম বাড়ানোর অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে, যা সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। ভালো ঘুমাতে রাতে এক-দুটি আখরোট খেতে পারেন।
কাঠবাদাম: অর্থমলিকুলার মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে যখন ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি থাকে, তখন ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম ও ট্রিপ্টোফান। এই দুটি উপাদানই স্নায়ু ও মাংসপেশিকে শান্ত করে দেয়। মাথাব্যথা উপশম করতেও কাজুবাদাম খেতে পারেন।
চেরির শরবত: চেরির শরবত মেলাটোনিন বাড়ায় এবং দ্রুত ঘুম আনতে পারে। পেনসিলভানিয়া ও রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেদের মতে, যাঁদের ইনসোমনিয়া রয়েছে তাঁরাও চেরির শরবত খেয়ে উপকার পান।
ডিম: ডিমে আছে ভিটামিন ডি, যা ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। মস্তিষ্কে যে অংশের নিউরন ঘুমাতে সাহায্য করে ডিমের ভিটামিন ডি সেখানে কাজ করে। যাঁদের ভিটামিন ডির স্বল্পতা থাকে, তাঁদের ঘুম আসতে চায় না।
দুধ: দুধে ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম মস্তিষ্কে ট্রিপটোফ্যান তৈরিতে সাহায্য করে। যা খেলে ঘুম ভালো হয়